এবার ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:13 AM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:13 AM
এবার ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে ইরান-সমর্থিত হুথিদের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
এদিকে হুথি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে এই আগ্রাসনের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, হুথিদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে সহায়তা করেছে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের যুদ্ধবিমান।
তিনি বলেন, এই হামলা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং বাহরাইন এই মিশনে সমর্থন দিয়েছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা, লোহিত সাগরের হুদাইদাহ বন্দর, ধামার এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাদায় অবস্থিত হুথি বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণই হুথিদের হাতে। গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে তারা দৃঢ়ভাবে হামাসকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। মূলত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই যুদ্ধের ঢেউই পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। হুথি বিদ্রোহীরা সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানাতেই সেখানে হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে। ইসরায়েলগামী যেকোনো জাহাজে হামলার ঘোষণা দিয়েছে তারা। গত ১৯ নভেম্বর ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর ১২ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে একটি নরওয়েজিয়ান ট্যাঙ্কারে হামলা চালানো হয়।
যদিও এর মালিকরা জানিয়েছেন, জাহাজটি ইসরায়েলগামী ছিল না। লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে ফ্রান্সের যুদ্ধজাহাজকেও। এরপর একে একে বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালানো হয়। এতে লোহিত সাগর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
তবে এই সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অঞ্চলটিতে উত্তেজনা কোনোভাবেই থামছে না। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নতুন করে হামলার ঘটনা ওই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি হুথি বিদ্রোহীরা জানায়, লোহিত সাগরে তাদের তিনটি নৌকায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে তাদের ১০ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে। এক বিবৃতিতে হুথি গোষ্ঠী জানায়, তাদের ওই নৌকাগুলো নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এবং সামুদ্রিক নৌচলাচলে সুরক্ষার লক্ষ্যে কাজ করছিল।