ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

ছুটছে পেঁয়াজ, পেছনে বেগুন গাজর

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ আগস্ট, ২০২৩,  12:59 PM

news image

পেঁয়াজের বাজারে অস্থির গত কয়েকদিনই। এরইমধ্যে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে দাম। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে বেগুন, গাজরসহ প্রায় প্রতিটি সবজির।  

গত সপ্তাহে যে বেগুন ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এ সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ টাকা, তা এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

শুধু বেগুন, গাজর কিংবা পেঁয়াজই নয় প্রায় প্রতিটি সবজি ও মশলা জাতীয় কাঁচামালের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি দরের টমেটো এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।  

শুক্রবার রাজধানীর বারিধারা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে৷ 

ক্রেতাদের অভিযোগ- ‘জ্যামিতিক’ হারে বাড়ছে সবজির দাম। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে টিকে থাকাটাই মুশকিল হবে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলা এই সবজির বাজারের লাগাম টানবে কে? 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লম্বা বেগুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।  গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকার গোল বেগুন কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া নীল বেগুন (তাল বেগুন) এ সপ্তাহে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।  

গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজির ছোট করলা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ৮০ টাকা কেজির বড় করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া লাউ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। 

কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া মূলা, পটল, ধুন্দল, ঝিঙ্গার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম কমেছে ১০ টাকা।  

এছাড়া পুঁইশাক মানভেদে ৩০ টাকা কেজিতে, কলমি শাক  প্রতি আটি ১৫ টাকা, পাটশাক প্রতি আটি ১৫ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে৷ 

বাজার করতে আসা আম্বিয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সব কিছুতে দাম। আগুনের মতো দাম। দেখতেই তো পাচ্ছেন। কিছুই বলার নেই। প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে আর আমরা কিনে খাচ্ছি। কিছুই করার নেই। এগুলো দেখার বা নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই। চাল থেকে সবজি সবকিছুই এখন সিন্ডিকেটের কব্জায়। বাজারে একটা বাজেট নিয়ে আসলেও এসে দেখি দাম হাওয়ার গতিতে বাড়ছে৷ ফলে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বাদ দিয়ে বাসায় যেতে হয়৷ এভাবেই চলছে৷ কী লাভ এসব বলে?

আবদুল্লাহ আল মামুন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, দাম কেমন সেটা তো অনুমান করতেই পারছেন। এক কেজি সবজি যদি ৮০ থেকে ২০০ টাকায় বা তার বেশি দামে কিনতে হয় তাহলে আমরা কেমন আছি সেটা জিজ্ঞাসার প্রয়োজন নেই। সবকিছুতেই দাম। এতদিন মাছ মাংস, চাল ডিমে দাম বেড়েছে। এখন সবজিতেও। আমরা তাহলে কিভাবে বাঁচব?  প্রতিদিন তো আর ৮০ টাকার এক কেজি ধুন্দল দিয়ে সংসার চলে না। এর সাথে চাল, ডাল, মাংস, ডিম বা আরও সবজি দরকার পড়ে। সবমিলিয়ে মানিয়ে চলা মুশকিল! 

তিনি বলেন, বেসরকারি চাকরি করি আমি। পেনশন নেই। যে বেতন পাই তা শুধু বাজারেই শেষ। বাসা ভাড়ায় শেষ। আমি বৃদ্ধ হলে কী হবে বা কিভাবে বাঁচব জানি না। সবকিছু মিলে ভালো নেই। এভাবে চললে কতদিন টিকতে পারব? 

দাম কেন বাড়ছে জানই চাইলে সবজি বিক্রেতা আলী আহমদ বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই। মোকামে দাম বাড়ায়। আমরা যেমন দামে কিনি তার চেয়ে অল্প কিছু লাভে বিক্রি করি। আমরা তো আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করি না। যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তাদের সাথে কথা বলেন। সবকিছুর দাম তো বাড়ছে, তাও তো মানুষ কিনছে। 

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির