ঢাকা ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই আ.লীগের আমলে গড়া সিন্ডিকেট এখনও এই সরকার ভাঙতে পারেনি বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিল হচ্ছে লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের সিরিজ বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৩ সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ওমর আবদুল্লাহর শপথ আজ সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে

জাতীয় বেতন স্কেলের দাবীতে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সাংবাদ সম্মেলন

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  3:45 PM

news image

মঙ্গলবার, বিজয়নগর ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  স্বাধীনতার গত ৫১ বছরে বাংলাদেশের সকল কর্মচারীদের অধিকাংশ দাবী দাওয়া পূরণ হয়েছে। অথচ আজ থেকে ৪৬ বছর পূর্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ থাকার পরও দেশের প্রান্তিক গ্রামীন পর্যায়ের দরিদ্র গ্রাম পুলিশদের পক্ষে কোন শক্তিশালী প্রচার/আন্দোলন না থাকায় আমাদের দাবীটি বাস্তবায়ন হয় নাই। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধানের প্রস্তাবনার অঙ্গিকারটি মনের করিয়ে দিচ্ছি, সংবিধানে উল্লেখ আছে “অঙ্গিকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।” (বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনার ৩য় ধারা) বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা শীর্ষক ১৫নং ধারা ও উপরোক্ত বক্তব্য সমর্থন করে। গনতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক ১১ নং ধারা এবং সুযোগের সমতা শীর্ষক ১৯ নং ধারা এবং কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি শীর্ষক ১৪ নং ধারা প্রস্তাবনার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর  সরকারের স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রের দশম অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে,” “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশেকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী ঘোষণা করছি।” একটি আদর্শ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হলে আমাদের সমাজের আয় বৈষম্য ও দারিদ্র শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের মজুরী কাঠামো বিবেচনা করতে হবে। বিবেচনা করতে হবে দারিদ্র অবহেলিত পশ্চাদপদ গ্রামপুলিশের কথা। তাদেরকে কি ভাবে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তভুক্ত করা যায় তারও একটা প্রচেষ্ঠা এখন থেকেই শুরু করা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃতকরনে জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁরই নির্দেশে ১৯৭৫ ইং সনে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহনিীকে স্ব-উদ্যোগে চাকুরী জাতীয়করণের আদেশ প্রদান করেন। যাহা ১৯৭৬ ইং সনের ১৭ই জানুয়ারী জারীকৃত সরকারী স্মারক নং- এস-/১/১ ইউ-৫/৭৬/১৮/১(৬৬) পরিপত্র আকারে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জেলায় প্রেরণ করা হয়। জাতির পিতার সেই আদেশমূলে জারীকৃত গ্রাম পুলিশ বাহিনীর চাকুরী জাতীয়করণের পরিপত্রটি আজ অবধি বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা ৪৫৭৬টি ইউনিয়ন পরিষেদের ৪৬,৮৭০ জন গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ মহান স্বাধীনতার ঘোষক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদেশকৃত ও স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে জারীকৃত গ্রাম পুলিশ বাহিনীর চাকুরী জাতীয়করণের দাবীটি বাস্তবায়নের জন্য আপনি বঙ্গকন্যা, মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়ার সুদৃষ্টি কামনা করছি। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশগণের বর্তমান (দফাদার ও মহাল্লাদর) বেতন এবং অবসরভাতা নিম্নবর্ণিত হলো দফাদার- সরকার ৩,৫০০.০০ + ইউনিয়ন পরিষদ ৩,৫০০.০০ = ৭,০০০.০০ টাকা ৬০,০০০.০০ টাকা, মহল্লাদার- সরকার           ৩,২৫০.০০+ ইউনিয়ন পরিষদ ৩,২৫০.০০ = ৬,৫০০.০০ টাকা ৫০,০০০.০০ টাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদেশকৃত গ্রাম পুলিশ বাহিনীর চাকুরী জাতীয়করণের দাবিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ০৯ মার্চ ২০২৩ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কার্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর একদফা জাতীয় বেতন স্কেলের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে মানীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি পেশ করা হবে। বর্তমান উর্ধ্বমুখী বাজার মূল্যে মাত্র ৬,৫০০/- (ছয় হাজার পাঁচশত) টাকায় ৫ জনের পরিবারের সংসার চালানো অনেক কঠিন। এজন্য স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের দুবেলা আধা -পেট খেলেও দিন চলে না। এছাড়াও আছে সন্তানদের লেখাপড়া খরচ, চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ। এজন্য আমাদের দাবী বাস্তবায়নে সাংবাদিকগণের সহযোগিতা ছাড়া আমরা অসহায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব মোছাদ্দেক হোসেন স্বপন, সভাপতি: কমান্ডার মোস্তফা কামাল, মহাসচিব এম.এ নাছের, মহিলা সচিব মৌসুমী আক্তার, মজিবুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, খালেক ভান্ডারী, বাবুল মিয়া, ইউসুফ আলী, জয়নাল, ইউনুছ, খাদেমুল ইসলাম, হাশেম মিয়া, আলী হোসেন, সেলিনা আক্তার সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির