ট্রেন'র গার্ড পদোন্নতির অপেক্ষায় ১২২ জন তবুও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বঞ্চিতরা দুদকের দারস্থ হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ এপ্রিল, ২০২৩, 3:41 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ এপ্রিল, ২০২৩, 3:41 PM
ট্রেন'র গার্ড পদোন্নতির অপেক্ষায় ১২২ জন তবুও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বঞ্চিতরা দুদকের দারস্থ হতে পারে
ট্রেন পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষারত সমগ্র বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মরতদের ১২২ জন প্রার্থী পদোন্নতি না পেয়ে দুদকের দারস্থ হতে যাচ্ছে গুঞ্জন উঠেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় গত ১/১২/২০২২ তারিখে হতে ৩০ কর্ম দিবসে অর্থাৎ ১২/১/২০২৩ তারিখের মধ্যে যাচাই বাছাই কমিটির আহবায়ক চীপ অপারেটিং সুপারিনন্টেন্ডেন্ট পশ্চিমকে লিখত ভাবে জানানোর জন্য সমগ্র বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল মিলে গার্ড গ্রেড -২ পদে পদোন্নতির জন্য কর্মরতদের জ্যেষ্ঠতার ভিক্তিতে ১২২ জনের একটি খসড়া জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রনয়ণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা প্রাপ্তরা যখন গার্ড গ্রেড -২ পদে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে, ঠিক সেই মূহুর্তে তাদের পদোন্নতি না দিয়ে, একটি দূর্নীতিবাজ চত্রু অসৎ লাভের জন্য ২৯ জনকে চুক্তি ভিত্তিক গার্ড পদে নিয়োগ দেওয়ার খবরে পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদোন্নতি প্রার্থীরা বলছেন এখন হয়তো দুদকের দারস্থ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।
পদোন্নতির জন্য অপেক্ষারত প্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন গার্ডকে নিয়োগ দিলে প্রতিমাসে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা অর্থ ব্যয় হবে। অথচ পদোন্নতির অপেক্ষায় থাকা গার্ডদের নিয়োগ প্রদান করা হলে একজনের জন্য প্রতিমাসে ৪২ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে রেলকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ট্রেন পরিচালক (গার্ড) পদে তীব্র সংকট থাকার পরেও অদৃশ্য কারণে পদোন্নতির অপেক্ষায় ১২২ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ চুক্তিভিত্তিক জনবল নিয়োগ করলে দায়িত্বে অবহেলাজনিত কারণে কোন প্রকার
দূর্ঘটনা ঘটলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না।
পদোন্নতির জন্য অপেক্ষারত ১২২ জনকে পদোন্নতির মাধ্যমে গার্ড গ্রেড -২ পদে নিয়োগ সম্পন্ন করে, চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে হয়তো তাদের আপত্তি থাকতো না। কিন্তু তাদের পদোন্নতি সম্পন্ন না করে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করা হলে তারা দুদকের দারস্থ হতে পারে জোর গুঞ্জন চলছে।