ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
‘মার্চ টু যমুনা’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা পাহাড়তলীতে তিনটি মাদকের আস্তানা উচ্ছেদে স্বেচ্ছাসেবক দলের মহড়া এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর একদিন বাকি, নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৫ শতাংশ হজযাত্রী আইনের শাসন কাকে বলে, নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই : সিইসি গাজা সিটিতে সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ বলল ইসরায়েল, নিহত আরও ৫৩ ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন

ট্রেনে ঈদযাত্রা : সহজে কঠিন, কাউন্টারে দশগুণ চাপ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ এপ্রিল, ২০২২,  11:57 AM

news image

সকাল ৮টা বাজলেই শুরু হয় অনলাইনে রেলের টিকিট কাটার তোড়জোড়। নতুন চুক্তিবদ্ধ সহজের ওয়েবসাইটের বেহাল দশার কারণে অনলাইনে টিকিট পাওয়া এক রকম ভাগ্যের বিষয়। প্রবেশের ৭ মিনিটের মাথায় দেখা যায় সব সিট বুক হয়ে গেছে।

অন্যদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের কথা তো সবারই জানা। অগ্রিমের টিকিটের চাপে পড়েছে পুরো স্টেশনপাড়া। ৩০ এপ্রিলের টিকিট আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দেয়া শুরু হলেও স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ গতকাল থেকেই। লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই অধিকাংশের। কারণ, মোট টিকিটের সংখ্যার চেয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন দশগুণ বেশি মানুষ।

দেখা গেছে, টিকিটপ্রত্যাশীদের অনেকেই স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার পেয়ে যাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেই সোনার হরিণ।

এদিকে, দুদিনের চেষ্টায়ও টিকিট না পেয়ে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদেরই একজন জানান, অনলাইন বুঝি না, তাই কাউন্টারে অপেক্ষা করছি। দীর্ঘ লাইন, টিকিট পাব কিনা সেই আশা নেই। তবুও দাঁড়িয়ে আছি, যদি পাই।

রাজশাহী রুটের এক টিকিটপ্রত্যাশী জানান, আমার দরকার দুটি টিকিট। লাইনে দাঁড়িয়েই অনলাইনে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। একটি টিকিট পেয়েওছিলাম। সেটিও কিনতে পারিনি পেমেন্ট ডিজেবল সমস্যায়। এখন কাউন্টারই ভরসা।

অনলাইন টিকিটপ্রত্যাশীরা জানান, সার্ভারে চাপ অনেক বেশি। ঢোকাই যাচ্ছে না। ঢুকতে পারলেও সিট বুক দেখাচ্ছে। আবার সিট থাকলেও পেমেন্ট থেকে যাচ্ছে পেন্ডিংয়ে।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, ঈদ যাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে ঢাকা ছাড়তে পারবেন। এরমধ্যে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে আসন থাকবে প্রায় ২৭ হাজার। এখন সবাই যদি ট্রেনে যেতে চান সেটা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না।

কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গতকাল বলেছেন, কালকের টিকিটের জন্য যদি মানুষ আজ লাইনে দাঁড়ায়, তাহলে আমাদের কী করার আছে। আজকের টিকিট নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। আমরা তো সিস্টেম করেছি, এখানে অন্য কোনো সুযোগ নেই। কারণ আপনার টিকিটে আমি যেতে পারব না।

মন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের ট্রেনের সংখ্যা কম। ঈদে ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন রাজধানী ছাড়বে। অথচ রাস্তার সক্ষমতা হলো মাত্র ১৫ লাখ। অনলাইনে সবাই টিকিট পাবেন না। পাঁচ লাখ মানুষ যদি যেতে চায়, আমি তো সবাইকে টিকিট দিতে পারব না। 

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির