ডিবি হেফাজতে ওয়ারি বিভাগের সেই ডিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ আগস্ট, ২০২৪, 12:17 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ আগস্ট, ২০২৪, 12:17 PM
ডিবি হেফাজতে ওয়ারি বিভাগের সেই ডিসি
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলির একটি ভিডিও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেখাচ্ছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিও দেখিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কামালকে বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মাদ ইকবাল। তিনি ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আর কর্মস্থলে আসেননি। সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় নরসিংদীর বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে। তিনি এখন ডিএমপির ডিবি হেফাজতে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মোহাম্মদ ইকবালকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে এখনও আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে ফৌজদারি মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারীদের গুলি করেছে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তবে দুদিন আগে পুলিশের গুলি করা নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ সময় সেখানে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গুলির বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছেন ডিসি ইকবাল। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
আন্দোলনের পুরো সময় মোহাম্মদ ইকবাল ওয়ারি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা তার আওতাধীন ছিল। আন্দোলনের সময় এই দুটি জায়গাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনের মোট নিহতদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ও জনতা হতাহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকায়।