তিশার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
বিনোদন ডেস্ক
২৬ অক্টোবর, ২০২৩, 1:30 PM
বিনোদন ডেস্ক
২৬ অক্টোবর, ২০২৩, 1:30 PM
তিশার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
বরেণ্য নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর মাধ্যমে আট মাস পর বড় পর্দায় ফিরেছেন নন্দিত অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ১৩ অক্টোবর দেড় শতাধিক হলে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ফিরেই বাজিমাত।
রুপালি পর্দায় এ রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন ভক্ত ও দর্শক মনে। দর্শক-ভক্তরা অধীর অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমার জন্য। মুজিব সিনেমায় ফজিলাতুন নেছা মুজিব [রেণু] চরিত্রে অভিনয় দিয়ে দর্শকমন জয় করেছেন তিনি। অনেকেই বলেছেন, শুভর সঙ্গে তিশাই সিনেমাকে টেনে নিয়ে গেছেন।
অন্যদিকে তাঁর অভিনীত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ বা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘কিম জিসোক’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওই উৎসবে সশরীরে হাজিরও ছিলেন তিনি। পেয়েছেন সবার প্রশংসা। সব মিলিয়ে তাঁর বৃহস্পতি তুঙ্গে।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তির সময় দেশে ছিলেন না তিশা। ফিরেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শক প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। অভিনেত্রীর মতে, ‘দর্শকের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। দেশে এসে প্রথমেই ফোনে মেসেজ দেখে মন ভরেছে। সিনেমাটি করার সময় অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে সবাইকে। আমরা এত পরিশ্রম করি আপনাদের কাছ থেকে এই প্রতিক্রিয়ার জন্য। কাজটি করার সময় অন্য রকম এক অনুভূতি কাজ করেছিল। আবার ভয়ও লেগেছে দর্শক সিনেমাটি কীভাবে গ্রহণ করবে– এই ভেবে। দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করেছেন বলেই সব পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেণু চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য নানা চেষ্টা ছিল। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন ঘণ্টা তাঁর পরিবার সম্পর্কে আমাদের অনেক না বলা কথা বলেন, তা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি; যা বেশ কাজে দিয়েছে।’ বঙ্গবন্ধুর জীবনে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অনেক। তাঁকে নিয়ে বললেন এভাবে, ‘বঙ্গবন্ধুর কথা সবাই জানেন, কিন্তু তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন নেছার কথা অনেকেই খুব বেশি জানেন না। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধু যখন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে ছিলেন, তখন বেগম মুজিব পরিবারকে দেখাশোনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; সিনেমার পর্দায় যা ফুটে উঠেছে। আমি মনে করি, এ সিনেমার মাধ্যমে মানুষ দারুণ একজন মহীয়সী নারীকে চিনবে ও জানবে।’
৮ অক্টোবর বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অটোবায়োগ্রাফি’র প্রিমিয়ার হয়। সব প্রদর্শনীতেই ভক্তদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায় সিনেমাটি। চরকি অরিজিনাল ফিল্মটি কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা উল্লেখ করে তিশা বলেন, ‘সিনেমাটির মাধ্যমে আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ের ছায়াকে দর্শকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই প্রথম আমি ফারুকীর সঙ্গে স্ক্রিপ্ট লিখেছি। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফারুকীর অভিনয় এবং ইলহাম জন্মের পর প্রথম ক্যামেরার সামনে আমার আসা। তাই সিনেমাটি আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের মতো। এটি বিশেষ সিনেমা আমাদের জীবনে।’ নতুন সিনেমার কাজে খুব একটা দেখা না গেলেও সংসার ও সন্তান নিয়ে দারুণ সময় কাটছে তিশার। পাশাপাশি ওটিটির জন্য নতুন কিছু কাজেরও পরিকল্পনা করছেন এই অভিনেত্রী।