ঢাকা ০২ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার অবস্থান ধরে রেখেছি : ড. খলিলুর রহমান ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ নিউইয়র্কের হৃদয় জিতে বিদায় নিলেন দিদারুল বেইজিংয়ে ভয়াবহ বন্যা, এক বৃদ্ধাশ্রমেই মারা গেলেন ৩১ জন বয়স্ক মানুষ ‘সবজিই যদি এত দামে কিনে খেতে হয় তাহলে মাছ-মাংস কিনবো কিভাবে’ পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে নিলেন বন্ধু ২৪' জুলাাই শহীদ আশিক এর স্ট্রীট স্ট্যাম্প ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না, ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছে : নাহিদ জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ

পুরান ঢাকায় উড়তে শুরু করেছে সাকরাইনের ঘুড়ি

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জানুয়ারি, ২০২২,  1:33 PM

news image

আজ শেষ হচ্ছে পৌষ মাস। দিনটি পুরান ঢাকার বাসিন্দারা সাকরাইন উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করে থাকেন। কেউ কেউ এটিকে পৌষ সংক্রান্তিও বলে থাকেন। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর মধ্যে একটি সাকরাইন। এ উৎসবকে ঘিরে প্রায় একমাস আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। বিশেষ করে এ এলাকার দোকানিদের ঘুড়ি এবং ফানুস বানানোর তোড়জোড় শুরু হয়।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সূর্যোদয়ের পর থেকেই বাসাবাড়ির ছাদে চলছে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতি। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতা-মাঞ্জা দেওয়া থেকে শুরু করে গান-বাজনাসহ পিঠা উৎসবেরও আয়োজন চলছে।

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে ছোটবড় সবাই মেতে উঠেছেন এ উৎসবে। দিনের শুরু থেকেই পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠা বানানোর ধুম। এছাড়াও এসব এলাকার আকাশে এখন থেকে উড়তে শুরু করেছে রঙ বেরঙের ঘুড়ি।

পুরান ঢাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদের চিত্র অনেকটা একই। কিশোর-কিশোরীদের ঢল আর হৈ-হুল্লোড়। আকাশে দেখা দিতে শুরু করেছে নানা নামের ঘুড়ির। শুরু হয়েছে নিজের ঘুড়িকে সবচেয়ে উপরে তোলার প্রতিযোগিতা। সেইসঙ্গে আছে ঘুড়ি কাটাকাটির লড়াই।

পুরান ঢাকার প্রায় সব বাড়িতেই আজ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সুত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশেপাশের এলাকাগুলো সাকরাইন উৎসব পালন করতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাসার ছাদে সাউন্ড-সিস্টেম, আলোকসজ্জা ও লাইটিং করে সাজানো হয়েছে।

সরেজমিনে পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখানকার প্রতিটা দোকানেই ঝুলছে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ঘুড়ি। এগুলো কেনায় ব্যস্ত ছোট-বড় সবাই। চোখদার, পানদার, বলদার, দাবাদার, লেজওয়ালা, পতঙ্গ বিভিন্ন ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।

এদিকে গত মাস থেকে করোনার বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। ফলে এবারও এ ঐতিহ্যবাহী উৎসব পালনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জানা যায়, পুরান ঢাকার জামাইরা পৌষ মাসের শেষে শ্বশুরবাড়ি আসতেন। তখন তারা ঘুড়ি ও নাটাই নিয়ে উৎসবে মাততেন। সব বাড়ির জামাই ঘুড়ি ওড়ালে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে তা দেখতেন এলাকাবাসী। এমনটা এখন আর হয় না। শহরে এখন শীতের তীব্রতা কমে গেছে। ঘুড়ি উৎসব এখন পৌষকে বিদায় দিয়ে মাঘকে বরণ করার উৎসবের অংশ হয়ে গেছে। 

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির