বৃষ্টির জন্য খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ এপ্রিল, ২০২৩, 3:30 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ এপ্রিল, ২০২৩, 3:30 PM
বৃষ্টির জন্য খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায়
প্রচন্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। নেমে গেছে সেচ পাম্পের পানির স্তর। তাই বৃষ্টির আশায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া বটতলা ঈদগাঁ মাঠে খোলা আকাশের নিচে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে প্রায় দুই শতাধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
ইসতিসকার নামাজে অংশ নেওয়া স্কুল শিক্ষক আলম বলেন, প্রচন্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতের আয়োজন করে গ্রামবাসী। গরমের কারণে মানুষ ও প্রাণীকুল নাকাল হয়ে পড়েছে। সবার খুবই কষ্ট হচ্ছে। জমির আধাপাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাত করছি। নিশ্চয়ই আল¬াহ আমাদের দোয়া কবুল করে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেবেন।
কয়েড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বলেন, তীব্র খরা আর প্রচণ্ড গরমে নাকাল দেশের মানুষ। ঘরে-বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি মিলছে না। তীব্র দাবদাহের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ও রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও নারীরা আরও কষ্ট পড়েছে। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে আল¬াহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ নামাজের আয়োজন করা হয়।
কয়েড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. বেলাল হোসেন বলেন, মহানবী (সা.) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি ও খরার সময় সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর (সা:) সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল¬াহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ইসতিসকার নামাজ দু’রাকাত। আযান ও একামত ছাড়া জামাতে দুই রাকাত প্রকাশ্য কিরাআতে নামাজ আদায় করতে হয়। এটাকে বলা হয় ‘সালাতুল ইসতিসকার’। ইমাম সাহেব কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে দোয়া-প্রার্থনা করেন। পাপমোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইসতিসকার করতে হয়।