ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

বেড়েছে মাছের দাম, অপরিবর্তিত মাংস-ডিমের বাজার

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুন, ২০২২,  11:25 AM

news image

সপ্তাহের বাজারে আজ (১৭ জুন) বেড়েছে মাছের দাম। নতুন করে দাম না বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস-ডিমের বাজার। এদিকে নিত্যপণ্যের দাম না কমায়, মুখ কালো করে দোকান ছাড়ছেন ক্রেতারা। পণ্যের বাড়তি দামে খুশি নন বিক্রেতারাও।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর রায়েরবাজারের মাছ, মাংস ও ডিমের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দাম হওয়ায় বাজারে ক্রেতা সংকট। একজন ক্রেতা ঢুকলেই ‘মামা এই দিকে ভালোটা’ ডেকে অস্থির করে তুলেছেন বিক্রেতারা। দামে না পোষালে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

জার ঘুরে দেখা গেছে, দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা; ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা, বড় সাইজের বোয়াল ৭০০ টাকা, ছোট সাইজের বোয়াল ৫০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, ৩ কেজি ওজনের দেশি রুই ৫৫০ টাকা, ছোট রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৫০-৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কাইকা মাছের কেজি ৫০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, বাছ মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা, চিতল ৬০০ টাকা, কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা, দেশি শিং এক হাজার টাকা, শোল ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা ও টাকি মাছ ৪৫০ টাকা।

মাছ ব্যবসায়ী মোকলেস  বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে মাছের বাজার কিছুটা চড়া রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিউ মার্কেটের পাইকারি বাজারের ১২-১৫টি মাছের ট্রাক আসত। আজ এসেছে মাত্র ৫টি। সরবরাহ কম থাকায় দামটাও একটু বেশি।

এদিকে বাজারে গরুর মাংস ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই দামে বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, পাকিস্তানি ২৮০ টাকা, ব্রয়লার ১৪৫ টাকা, লেয়ার (লাল) ২৫০ টাকা এবং লেয়ার (সাদা) দাম ২২০ টাকা।মুরগী ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, মুরগির বাজার গত সপ্তাহের মতো কমই আছে। তবে আগামী সপ্তাহে দাম বাড়তে পারে।

গরুর মাংস ব্যবসায়ী জামাল শিকদার বলেন, মাংসের বাজারে সব আমরাই। কোনো ক্রেতা নেই। আগে যখন ৫৮০ টাকা কেজি মাংসের দাম ছিল, তখন জমজমাট ব্যবসা ছিল। আমি ৩৭ বছর ধরে এই ব্যবসা করি। ৩০ টাকা কেজিও গরুর মাংস বিক্রি করেছি। সেখান থেকে আজ ৭০০ কেজি গরুর মাংস। এত দাম হলে মালিকরাও লাভবান হন না। কারণ, এখন তো বিক্রিই নেই।

এদিকে ডিমের ব্যবসায়ী তানিম জানান, ডিমের দাম আগের মতো রয়েছে। বাজারে আজ হাঁসের ডিম ১৬০-১৮০ টাকা, মুরগির ডিম ১১০-১২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগীর ডিম ১৮০ টাকা, ফার্মের মুরগির সাদা ডিম ১১০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির