ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর একদিন বাকি, নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৫ শতাংশ হজযাত্রী আইনের শাসন কাকে বলে, নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই : সিইসি গাজা সিটিতে সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ বলল ইসরায়েল, নিহত আরও ৫৩ ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন গাজামুখী ফ্লোটিলা বহর আটক, কঠোর নিন্দা জানালো বাংলাদেশ আজ বিজয়া দশমী সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েল

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ এপ্রিল, ২০২৫,  12:38 PM

news image

ভবিষ্যতের স্বপ্ন আর পরিবারের অভাব ঘোচাতে রাশিয়ার পথে পা বাড়িয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যুবক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫)। কিন্তু তার সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি, বরং ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাশিয়া থেকে আকরামের এক সহযোদ্ধা তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে মৃত্যুর খবর জানান।আকরাম হোসেন আশুগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের দিনমজুর মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়ায় পাড়ি জমান আকরাম। প্রথমে একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করলেও বেতন কম হওয়ায় এক পর্যায়ে দালালের প্রলোভনে পড়ে রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেন তিনি।

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিজের ফেসবুকেও বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। তবে পরিবারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও আকরাম জানান, আর ফিরে আসার সুযোগ নেই তার।

১৩ এপ্রিল থেকে আকরামের সঙ্গে পরিবার এবং রাশিয়ায় থাকা পরিচিতজনদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৮ এপ্রিল আকরামের এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। তার ইউনিটের আরও কয়েকজন সদস্য একই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

আকরামের মা মোবিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের কণ্ঠ শুনি না বহুদিন, এখন তো আর শোনার সুযোগও থাকল না।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবার সূত্রে জানতে পেরে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির