ঢাকা ২২ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় নিয়ে করা মন্তব্যের ব্যাখা দিলেন আসিফ নজরুল আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই নতুন ভোটারদের রিমান্ড শেষে কারাগারে আনিসুল হক জাতীয়করণের দাবিতে আউটসোর্সিং কর্মীদের শাহবাগ অবরোধ চতুর্থ দফা সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ট্রেন পরিচালক চিকিৎসক এর ভূমিকায় প্রশংসিত নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

রেলে ঠিকাদারের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ হচ্ছে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জুন, ২০২২,  5:24 PM

news image

হাসেম আলী। ৪০ বছর ধরে রেলে কাজ করছেন। স্লিপার বসানো, ট্র্যাক ঠিক করা, লাইনচ্যুত ট্রেনকে সচল করার কাজ করছেন দক্ষ হাতে। এখন তারই ভবিষ্যৎ লাইনচ্যুত হতে চলেছে। রেলের দক্ষ কর্মীদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ফলে অস্থায়ী নিয়োগে থাকা বিপুল পরিমাণ দক্ষ কর্মীর বেকার হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রেলওয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য আগামী অর্থবছর থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর বিপরীতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জনবল নেওয়ার আদেশ জারি হয়েছে। এতে রেলওয়ের কয়েক হাজার দক্ষ কর্মীর বেকার হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রেলের অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তারা বহুদিন ধরে কাজ করে এখন দক্ষ হয়েছেন। হঠাৎ করে তাদের বাদ দেওয়া হলে অন্য কাজেও যেতে পারবেন না। অনেকের এ কাজে জড়িত থাকার বয়স ৪০ বছর পার হয়েছে। বয়সের শেষ সময়ে এসে এখন তারা কোথায় যাবেন। রেলওয়ে শ্রমিক লীগ ওপেন লাইন শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেলওয়েতে প্রায় আট হাজার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজ নিজ কাজ করছেন। তারা নিজ নিজ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের অনেকের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এখন আগামী অর্থবছরে অনিয়মিত কর্মচারীদের বাজেট কোডে কোনো বাজেট বরাদ্দ রাখা হবে না বলে চিঠি এসেছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন।’ রাজশাহী ওপেন লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, রেলে যাদের অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেগুলো টেকনিক্যাল পদ। এসব পদে হঠাৎ করে কেউ এসে কাজ করতে পারবেন না। তাকে আগে দক্ষ হতে হবে। এ অবস্থায় ঠিকাদারের মাধ্যমে জনবল নিলে রেল ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ ঠিকাদারের সরবরাহ করা জনবলের কোনো জবাবদিহিতা থাকবে না। তাদের পরিচালনা করবে ঠিকাদার।  রেলের দক্ষ জনবল বাদ দিয়ে ঠিকাদারের কাছে থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক আনলে তাদের দিয়ে ঠিকমতো কাজ করানো যায় না। এভাবে রেলওয়ের কাজ চলতে পারে না বলে মনে করেন পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।

 তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারের কাছ থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক আনলে তাদের দিয়ে ঠিকমতো কাজ করানো যায় না। এটা সেবাধর্মী ও টেকনিক্যাল কাজ। ঠিকাদার ঠিকমতো টাকা দেয় না। কর্মীর নামে যে টাকা বরাদ্দ থাকে, ঠিকাদার ওই টাকার একটা অংশ নিয়ে নেন। এতে কর্মীদের চলে না। তাদের আবার অন্য কাজ করতে হয়। বিষয়টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ভেবে দেখতে পারে।’

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির