শেয়ারবাজার নিয়ে একটি শব্দও করেননি অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন, ২০২৩, 5:45 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন, ২০২৩, 5:45 PM
শেয়ারবাজার নিয়ে একটি শব্দও করেননি অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজার নিয়ে কথা কমাতে কমাতে এ বছর শূন্যের কোটায় নেমে এসেছেন তিনি। সম্ভবত শেয়ারবাজারের চলতি সংকটাবস্থা নিয়ে কথা বলে বিব্রত হতে চাননি তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম (বাজেট) অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
গত কয়েক বছরের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে পৃথক ‘চ্যাপ্টার’সহ অন্তত পাঁচবার শেয়ারবাজার নিয়ে কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। গত বছর আর্থিক খাতের সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে শুধু শেয়ারবাজারেও সংস্কার কার্যক্রম চলছে বলে একটি কথা বলেছিলেন।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, শেয়ারবাজার বিষয়ে সরকারের ভ্রান্তনীতিসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার কারণে বারবার এ বাজারে কারসাজি স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে, এতে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত। অনেকে বিনিয়োগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
নতুন বাজেট ঘোষণার আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর হয়, সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে তার ওপর কর রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছে সরকার। অবশ্য প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কোনো প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত করেননি অর্থমন্ত্রী। এটাকেই ‘মন্দের ভালো’ বলে অভিহিত করেছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে সরকারের পরামর্শে ২০২০ সালের মার্চে প্রথম তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য সীমা বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর পর তা তুলে নিলেও গত দুই বছরে আরও দুই দফায় তা বহাল করেছে, যা বিশ্বে নজিরবিহীন।
দুই বছর আগে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়। এর পর তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির তালিকাভুক্তির নীতি বাস্তবায়ন করার কোনো উদ্যোগই দৃশ্যমান নেই।