ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর একদিন বাকি, নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৫ শতাংশ হজযাত্রী আইনের শাসন কাকে বলে, নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই : সিইসি গাজা সিটিতে সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ বলল ইসরায়েল, নিহত আরও ৫৩ ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন গাজামুখী ফ্লোটিলা বহর আটক, কঠোর নিন্দা জানালো বাংলাদেশ আজ বিজয়া দশমী সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েল

শ্রমিক অধিকার জোরদারে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরলেন ইমরুল কায়েস পলাশ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ আগস্ট, ২০২৫,  3:38 PM

news image

বাংলাদেশের তরুণ শ্রমিক নেতা ইমরুল কায়েস পলাশ জাপানে ইন্টারন্যাশনাল লেবার ফাউন্ডেশন (JILAF) আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল শ্রমিক অধিকার, গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এবং শিল্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

প্রশিক্ষণ শেষে ৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে JILAF-এর সভাপতি ইয়াসুনোবু আইহারা তাকে একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করেন। সার্টিফিকেটে লেখা ছিল যে, জাপানে অর্জিত তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের বিকাশে এবং দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ইমরুল কায়েস পলাশ শ্রমনীতি, আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড, সামাজিক সংলাপ, শ্রম-নিয়োগকর্তা সম্পর্ক উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন ক্লাসে ও কর্মশালায় অংশ নেন। এছাড়াও তিনি জাপানের শিল্প কারখানা, শ্রমিক সংগঠন এবং ট্রেড ইউনিয়ন কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এই প্রশিক্ষণ তাকে উন্নত দেশের শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সরাসরি ধারণা দিয়েছে।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত JILAF মূলত জাপান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে। তারা প্রতি বছর এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে নির্বাচিত শ্রমিক নেতাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইমরুল কায়েস পলাশের এই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের শ্রম আন্দোলনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, "জাপানে দেখেছি, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক সহযোগিতামূলক হলে উৎপাদনশীলতা বাড়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রও নিরাপদ ও মানবিক হয়। আমি এই অভিজ্ঞতা দেশে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।" দেশে ফিরে তিনি কর্মশালা, সেমিনার এবং স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। তার লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনকে আরও গঠনমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নীতি-ভিত্তিক করে তোলা।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির