সজনের কেজি ২০০ টাকা, কমেছে সবজির দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মার্চ, ২০২২, 12:16 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মার্চ, ২০২২, 12:16 PM
সজনের কেজি ২০০ টাকা, কমেছে সবজির দাম
রাজধানীর বাজারগুলোতে নতুন সবজি হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে সজনে ডাঁটা। তবে দাম বেশ চড়া। বিভিন্ন বাজারে সজনে ডাঁটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। সজনে ডাঁটা এমন চড়া দামে বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেশকিছু সবজির দাম কমেছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও ও মালিবাগের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন সজনে ডাঁটা। বাজারে নতুন আসা এ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
রামপুরায় ২০০ টাকা কেজি দরে সজনে ডাঁটা বিক্রি করা ফজর আলী বলেন, সজনে বাজারে নতুন এসেছে। এ জন্য দাম একটু বেশি। আর এখন সজনে ডাঁটা সবাই কেনে না। অল্পকিছু মানুষ কেনেন। তাদের কথা চিন্তা করে আড়ত থেকে বাছাই করে ভালো ডাঁটা এনেছি। ভালো জিনিসের দাম একটু বেশিই দিতে হবে।
খিলগাঁও তালতলা বাজারে গিয়েও দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যবসায়ী সজনে ডাঁটার কেজি ২০০ টাকা বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, আড়ত থেকে সজনে ডাঁটা অনেক বেশি দামে কিনে আনতে হয়েছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করছি।
তবে কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা সজনে ডাঁটার কেজি বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মো. শামছুল আলম বলেন, গত সপ্তাহে সজনে ডাঁটার কেজি ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। আজ ১২০ টাকা বিক্রি করছি। শুধু সজনে ডাঁটা না, গত সপ্তাহের তুলনায় শশা, বেগুন, পটল, বরবটিসহ অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগে ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম কমে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কিছুদিন আগে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম কমে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বাজারে নতুন আসা আরেক সবজি ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই সবজিটির কেজি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
পটল, বরবটি এবং ঢেঁড়সের পাশাপাশি কমেছে বেগুন ও পাকা টমেটোর দাম। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শাল গম (ওলকপি) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগে হুট করে দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। খুচরা পর্যায়ে গত সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী সালাম বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাছাড়া হালি পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে চলে আসবে। আবার মিয়ানমার থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ কারণে এখন পেঁয়াজের দাম কমের দিকে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমও গত সপ্তাহের মতো ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি।
এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।