ঢাকা ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের জানাজা দুপুরে জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ বিশপের সাভারে চলন্তবাসে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে আহত ৪ ভোরের আগুনে পুড়লো বনানী বস্তির ঘর এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ছাড়, সেনানিবাস হয়ে যেতে পারবেন বিমানযাত্রীরা সরাসরি পাকিস্তান থেকে ফের চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে জাহাজ ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না : অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশে বই উৎসব আজ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জানুয়ারি, ২০২৩,  9:56 AM

news image

আজ বই উৎসব। নয় কোটি পাঠ্যবইয়ের ঘাটতি নিয়ে এবার পালিত হবে নতুন বছরের বই উৎসব। রোববার (১ জানুয়ারি) গাজীপুরে মাধ্যমিকের ও ঢাকায় প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮০ শতাংশ ও প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। যদিও মুদ্রণ শিল্প সমিতির দাবি, ঘাটতির পরিমাণ এনসিটিবির হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কাগজ সংকটে প্রাথমিকের বই ছাপানো দেরিতে শুরু হওয়ায় সংকট বেশি ঘনীভূত হয়েছে। নিম্নমানের বইয়ের পাশাপাশি এবার প্রচুরসংখ্যক শিক্ষার্থীর নতুন বই নির্ধারিত সময় না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়া উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বই বিতরণ উৎসব পালিত হবে। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

অন্যদিকে, মাধ্যমিক পর্যায়ের কেন্দ্রীয় বই উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার প্রায় নয় কোটি পাঠ্যবই ঘাটতি রেখেই পাঠ্যপুস্তক উৎসব করা হচ্ছে। ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে আছে বই। সবচেয়ে বেশি আটকে আছে বারোতোপা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ প্রতিষ্ঠানটি এবার এক কোটি ৯০ লাখ বইয়ের কাজ পায়। এর মধ্যে এক কোটি বই তারা দিতে পারেনি। এ প্রতিষ্ঠানের মূল প্রতিষ্ঠান দেশের একটি বিখ্যাত নোট-গাইড প্রকাশন সংস্থা। সরকারি ছাপার কাজ বন্ধ রেখে তারা নোট গাইড ছাপছিল। এ খবর পেয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর এনসিটিবিতে ছুটে যান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি সংস্থাটির উদ্দেশে সতর্কতামূলক কথাবার্তা বলেন। এরপর অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারি বই ছাপার কাজ হাত দেয়। কিন্তু দুদিনের মাথায় শনিবার এ সচিবকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বদলি করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আরও জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশ আছে। এছাড়া লেটার অ্যান্ড কালার বই দেয়নি। প্রমা ও ব্রাইট নামে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আটকে আছে অর্ধ কোটির বেশি বই। অগ্রণী, আনন্দ, দশদিশা, জাহানারা, সরকার গ্রুপ এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রেসের কাছেও কয়েক কোটি বই আটকে আছে। প্রিন্ট মাস্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছেও কিছু বই আটকে আছে। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, সপ্তম সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও তাদের কাজ দেওয়া হয়েছে। খালি কাজ নেওয়ার ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটি ৭০ লাখ টাকা লাভ করেছে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির