স্বৈরাচার রেলমন্ত্রী থেকে পোষ্যর অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়- পোষ্য সোসাইটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 3:45 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 3:45 PM
স্বৈরাচার রেলমন্ত্রী থেকে পোষ্যর অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়- পোষ্য সোসাইটি
রেলওয়ের নিয়োগ,পদোন্নতি, নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন নিয়ে রেলমন্ত্রীর স্বৈরাচারিতামূলক আচরণ থেকে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির
রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রেলওয়ে ক্যাডার বহিভুর্ত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা—২০২০ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই নিয়োগবিধি মূলত রেলওয়ের কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করার এক ঐতিহাসিক দলিল। নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সর্বকালের সেরা স্বৈরাচারিতামূলক ও নোংরা হাতে নিয়োগ বাণিজ্য সিন্ডিকেট কতৃর্ক প্রণীত একটি বিধিমালা। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা চক্র দ্বারা সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন এবং রেলওয়ের কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলমান। রেলওয়ে কর্মচারীবান্ধব নিয়োগবিধি প্রণয়ন এর দাবিতে রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি রেলওয়ে মহাপরিচালক ও রেলপথ মন্ত্রীকে দাবি জানিয়ে আসলেও নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ফলশ্রম্নতিতে ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ রেলওয়ে মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/ সংশোধন কমিটি গঠিত হওয়ায় রেলওয়ের কর্মচারী ও পোষ্যরা আশার আলো দেখতে পায়। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাসেও নিয়োগ বিধিমালা হালনাগাদ / সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটি কতৃর্ক বিধিমালা হালনাগাদ/সংশোধন না করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া দুঃখজনক।
তিনি বলেন, পদোন্নতি যোগ্য পদে পদোন্নতি বন্ধ, অনুমোদিত জনবলের বিভিন্ন পদে আউটসোর্সিং এর নামে পকেট সোর্সিং চালুর ষড়যন্ত্র, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যদের সরাসরি নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি, সরাসরি ও পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগে মহাপরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকের ক্ষমতা খর্ব করা এবং নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের নামে রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/সংশোধনে গঠিত কমিটি কতৃর্ক সংশোধন না করে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখার কারণে রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যদের মাঝে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগ বিধিমালা—২০২০ রেলওয়ের প্রচলিত বিধি—বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। পূর্বেও নিয়োগ দুর্নীতি ছিল তবে তা পুকুর চুরির দুর্নীতি। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল জেনারেল ম্যানেজারের কাছ থেকে জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্ম কমিশন, বাংলাদেশ রেলওয়ে রেলভবন এর প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির চলমান নিয়োগ কার্যক্রম এমন অবস্থায় গিয়েছে যে, পুকুর চোরের হাত থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মুক্ত করতে গিয়ে সাগর চোরদের হাতে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এই ‘সাগর চোরেরা’ তাদের সিন্ডিকেট ব্যবহার করে অনায়াসে দুর্নীতি করে যাচ্ছে। তাদের এ দুর্নীতির কারণে রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রেলওয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি, নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন নিয়ে বারবার মাননীয় রেলপথ মন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত না করে স্বৈরাচারিতামূলক ভাবে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী কার স্বার্থে রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন তা খতিয়ে দেখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যরা মনে করে রেলওয়ে তাদের স্বতন্ত্র আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এবং রেলওয়েকে চলমান স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা উচিত। তাই নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ অনতিবিলম্বে সংশোধন করে, চাকুরীতে আবেদনের ক্ষেত্রে পোষ্যর সংজ্ঞা সংশোধন, নিয়োগ পদ্ধতি, পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ, পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মহাব্যবস্থাপককে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা এবং রেলওয়ে নিয়োগ ব্যুরো পূনঃবহাল করে রেলওয়ে কর্মচারী বান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রনয়ণ করতে হবে। কারণ নিয়োগ বিধি সংশোধন আর জনবল নিয়োগ প্রত্রুিয়া এক সাথে চলতে পারে না।