ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন লবণচাষিরা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  11:39 AM

news image

লবণ চাষের জন্য চাষিরা ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদ হারে ঋণ পাবেন। তবে বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ হার প্রযোজ্য হবে না। গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলীয় যেসব এলাকা লবণ চাষের উপযোগী, সেখানে লবণ চাষ মৌসুমে (নভেম্বর মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত) রেয়াতি সুদের হারে ঋণ দেওয়া হবে। প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে একক ও গ্রুপ ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

যেসব লবণ চাষির জমির মালিকানা আছে, তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিল করা দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিত লবণ হাইপোথিকেশনের বিপরীতে রেয়াতি সুদে ঋণ দেওয়া হবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে জমির মালিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। ১০ টাকায় খোলা অ্যাকাউন্ট ও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ছাড়া লবণচাষিদের শনাক্তকরণের অন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না।

বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ হার প্রযোজ্য হবে না। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ব্যাংক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।

ব্যাংকগুলো রেয়াতি সুদে বিতরণ করা ঋণ আদায় ও সমন্বয়ের পর ঋণ হিসেবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৪ শতাংশ হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।

দাখিল করা দাবি ন্যূনতম ১০ শতাংশ ঋণ নথি সরেজমিনে যাচাই করে প্রাপ্য সুদ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব থেকে ব্যাংকগুলোকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে। তবে, কোনো ঋণ হিসাবে ৪ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করলে ঋণ হিসাব সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।

সময়ে সময়ে জারি করা কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশানা লবণ চাষে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। 

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির