ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দুই দিনের অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে সচল শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স, ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ ২০২৬ বিশ্বকাপে নেইমারের খেলা নিয়ে যা বললেন আনচেলত্তি চীন সফর সফল হয়েছে : মির্জা ফখরুল

৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  12:26 PM

news image

দেড় যুগ আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

চাকরিতে বহাল করে তাদের সব সুযোগ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ৮৫ কর্মকর্তার মধ্যে মারা যাওয়া তিন কর্মকর্তার পরিবারকে আইন অনুযায়ী সব সুবিধা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেড় যুগ আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা চাকরিতে ফিরতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। 

এসংক্রান্ত আপিল ও পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের এই তারিখ দেন।

আইনজীবীদের তথ্য মতে, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়ার পর ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ৮৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ৮৫ জন চাকরি ফিরে পেতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রশাসিনক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন।

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চারটি আলাদা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার আদালত আবেদন চারটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। পরে ২০১১ সালে সরকারপক্ষ আপিল করে। এসব আপিল মঞ্জুর করে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন আপিল বিভাগ। এই রায়ে ৮৫ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২৩ সালে আবেদন পাঁচটি আলাদা আবেদন করেন চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। এসব রিভিউ আবেদনের মধ্যে একটি রিভিউ আবেদনে শুনানির পর আপিল বিভাগ গত বছরের ৬ নভেম্বর আগের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন। এই আপিল ও আগের আরও চারটি রিভিউ আবেদনে শুনানির পর ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির