ঢাকা ২২ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে নিম্নচাপ, ১ নম্বর সতর্কসংকেত সংস্কারের উপসংহার থাকতে হবে, অনন্তকাল চললে প্রশ্ন উঠবেই: রিজভী ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ গণজমায়েত আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ ফ্যাসিবাদের দোসর তকমায দুঃখজনক: জি এম কাদের জামায়াতের নিবন্ধন : আপিল বিভাগে আবেদন পুনরুজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিলেন রাষ্ট্রপতি

অনলাইনে ট্রেনের নতুন টিকিটিং সিস্টেমের প্রথমদিনেই বিড়ম্বনা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ মার্চ, ২০২২,  11:31 AM

news image

নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে টিকিট কাটতে পারছেন না যাত্রীরা। শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তারপর থেকেই ওটিপি, ওয়েবসাইট লোডিং ও সার্ভার সমস্যার কারণে অচলাবস্থা তৈরি হয় রেলের টিকিটিং সিস্টেমে।

সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও ট্রেনের টিকিট কাটার ওয়েবসাইটটি কাজ করছিল না।অন্যদিকে সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কাটতে বিড়ম্বনার পড়ার কথা জানিয়েছেন।ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন এ সিস্টেম তৈরি করেছে সহজ নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এর আগে এ সেবা দিয়ে আসছিল আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিএনএস।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৬ মার্চ থেকে শুরু হবে অনলাইনে টিকিট বিক্রি। অর্থাৎ, ২৬ তারিখ থেকে ঘরে বসে অনলাইনেই (eticket.railway.gov.bd) কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট। নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী আগের মতো সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে।

জানা গেছে, নতুন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। পুরনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে নতুন সাইটে লগ-ইন করা যাবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

বাস - লঞ্চ টিকিট বিক্রি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহজ ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত রেল টিকিটিং সিস্টেমের আদলে একটি সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করেছে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পেয়েছে। টিকিটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সিস্টেম পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও প্রদান করেছে সহজ। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করেছে সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। 

ওই চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইনে ইস্যু করা হচ্ছে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির