সংবাদ শিরোনাম
ট্রেন চলাচলের জন্য আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইনের রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুলাই, ২০২৩, 4:57 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুলাই, ২০২৩, 4:57 PM
ট্রেন চলাচলের জন্য আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইনের রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আখাউড়া-লাকসাম রেল অংশের ডাবল লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার অংশে আগে একক লাইন থাকলেও ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় সেটিকে ডাবল লাইন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ৭২ কিলোমিটার অংশ ডাবল লাইনে উন্নীত করার এই প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এর মধ্য দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। এটিই দেশের প্রথম ডাবল লাইনের রেলপথ। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের বাকি অংশ আগেই ডাবল লাইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, এই রেলপথ চালু হলে দুই শহরের মধ্যে যাতায়াতের সময় এক ঘণ্টা কমে যাবে। পুরো রেললাইনের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম অংশে ডাবল লাইন না থাকায় এই রুটে যাত্রায় সময় বেশি লাগত। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩২৭ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেনে উন্নীত হওয়ার ফলে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন পরিচালনা করা যাবে এবং ট্রেনের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে টঙ্গী থেকে ভৈরব বাজার পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেনে উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে লাকসাম থেকে মীরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেইনে উন্নীত করা হয়। এছাড়া আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথ দুই লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়, যা শেষ হয়েছে সম্প্রতি। ২০১৪ সালে ৬,৫০৪.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত দুই লেইন রেলপথ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেল লাইনকে দুই লেনে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে এডিবি প্রায় ৫,৪৭৭.৮৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানান জটিলতা ও প্রকল্পের পরিধি বৃদ্ধির কারণে মেয়াদ গত জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হয়ে গেলেও লুপ লাইনের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। পাশাপাশি ঠিকাদারের এক বছর ডিফেক্ট লায়াবিলিটি ধরে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে না। প্রকল্পের আওতায় ১৪৪ কিলোমিটার মেইন লাইনের পাশাপাশি ৪০.৬০ কিলোমিটার লুপ ও সাইড লাইন নির্মাণ, ১৩টি মেজর সেতু, ৪৬টি মাইনর সেতু ও ১১টি স্টেশনের ভবন নির্মাণ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩২৭ কিলোমিটার রেল লাইনের পুরোটাই দুই লেইনে উন্নীত হওয়ার ফলে ট্রেন পরিচালনার সক্ষমতা ৩৬ জোড়া থেকে বেড়ে ৭২ জোড়া হবে। দুই লেইন চালু হলে একটি ট্রেনের ক্রসিং দিতে অন্য ট্রেনকে কোনো স্টেশনে বসে থাকতে হবে না। এতে ট্রেনের গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সময় ও ব্যয় কমবে।
সম্পর্কিত