রেলপথ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে রেলওয়ে কর্মচারীরা অসহায় : মনিরুজ্জামান মনির
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ আগস্ট, ২০২৩, 5:47 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ আগস্ট, ২০২৩, 5:47 PM
রেলপথ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে রেলওয়ে কর্মচারীরা অসহায় : মনিরুজ্জামান মনির
রেলপথ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে রেলওয়ে কর্মচারীরা অসহায় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।
মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রানিং স্টাফদের মাইলেজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রেলপথ মন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রনালয়,অর্থ মন্ত্রনালয় তামাশা করছে। নিয়োগ,পদোন্নতি,মাইলেজ জটিলতা, প্রকল্পের গেইট কিপার ও
টিএলআর শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করণ, আউটসোর্সিং ও অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ,উন্নয়ন কাজ ও কেনাকাটায় কোটি কোটি টাকা লুটপাট, ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন,রেলসেতু,মেয়াদ্দোত্তীর্ণ ইঞ্জিন তথা পুরো রেলওয়ে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে পরিচালনা হচ্ছে। আর এই সব
কিছুর জন্য দায়ী রেলমন্ত্রী।
২১ ডিসেম্বর /২১ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ রেলওয়ে
পোষ্য সোসাইটি রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও নিয়োগ বিধি জটিলতা
নিরসনসহ আট দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেন। ২৭ ডিসেম্বর /
২১ তারিখে স্বৈরাচারীতা নিয়োগ বিধি সংশোধন করতে ১৮ সদস্য
বিশিষ্ট কমিটি গঠন হয়। কিন্তু গত ২১ মাসেও নিয়োগ বিধি সংশোধন
হয়নি,মাইলেজ জটিলতা নিরসন হয়নি, প্রকল্পের গেইট কিপার ও
টিএলআর শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করণ হয়নি,অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ
বন্ধ হয়নি, রেলওয়ে পোষ্যদের জন্য গড়ে উঠা রেলওয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যাবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে, রেলওয়ে কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবার বেহাল অবস্থা, রেলওয়ে হাসপাতালগুলো নিজেই রোগীতে পরিনত হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে বহু জটিলতা। নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনে আগ্রহী নয় রেলমন্ত্রী। অবৈধভাবে জনবল নিয়োগে চলছে প্রতিযোগিতা। প্রকল্পের গেইট কিপারদের স্থায়ী করণের প্রত্রুিয়া নিয়ে চলছে গড়িমসি। বাংলাদেশ রেলওয়ের কতৃপক্ষের মতামতকে উপেক্ষা করে রেলমন্ত্রী,রেলপথ মন্ত্রনালয়,অর্থ মন্ত্রনালয় রেলওয়ে রানিং স্টাফদের ন্যায় সংগত অধিকার বঞ্চিত করার খেলায় মেতেছেন। রেলওয়ের মত একটি বিশেষায়িত কারিগরি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানে অসৎ উদ্দেশ্য হাজার হাজার দক্ষ টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকদের অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দিয়ে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের মতামতের বিরুদ্ধে রেলপথ মন্ত্রণলায় অবস্থান নিয়ে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রনালয় এর কর্মকান্ডে রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের মনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত কর্মচারী বান্ধব নিয়োগ বিধি প্রনয়ন,মাইলেজ জটিলতা নিরসন,প্রকল্পের গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ী করণ, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের দাসত্ব প্রথা চালুর প্রক্রিয়া বন্ধ করে টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকদের অনিশ্চিত জীবন থেকে মুক্তি,কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগসহ রেলওয়ে ৩য়—৪র্থ শ্রেনীর শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করা না হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালনা গভীর সংকটে মধ্যে পড়বে।